মনিরুল ইসলাম : [২] জাতীয় পার্টি কি ভাঙনের মুখে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটির ব্যাপক ভরাডুবি। নির্বাচনে  দলের মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষোভ ও হতাশা ।  প্রার্থীরা দলের শীর্ষ দুই নেতা জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে দায়ী করে বক্তব্য দেওয়া, দল থেকে ৪ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে অব্যাহতি প্রদান। বিপুল পরিমাণ আর্থিক' সহযোগিতা পাওয়ার তথ্য, এই টাকার হিসাব চাওয়াসহ নানা বিষয়ে জাতীয় পার্টি আজ বিভক্ত। এই বিভক্তির কারণে জাতীয় পার্টি ফের ভাঙ্গনের দিকে এগুচ্ছে কি না তা নিয়ে   জাতীয় পার্টির  তৃণমূল  নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা । শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন । 

 [৩] এদিকে, জাপার দলীয় সূত্র জানায়, চাপ বাড়ছে জি এম কাদের আর মুজিবুল হক চুন্নুর ওপর। একদিকে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার  টেনশন । অন্যদিকে দলের পরাজিত প্রার্থীদের তীব্র সমালোচনা। দলের ৪ নেতার অব্যাহতি। এসব কারণে জাপার বর্তমান নেতৃত্ব একটু বেকায়দায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

[৪] তবে  রোববার রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউট মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায়, জাপার পরাজিত প্রার্থীসহ বিক্ষুব্ধ নেতারা সমালোচনা করে বক্তব্য দিলেও দল ভাঙ্গার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। দলের কো- চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা তার বক্তব্যে বলেছেন, সভাটি আত্মজিজ্ঞাসার      ।  দল ভাঙ্গার নয়। ঐক্য। ঐক্য।ঐক্য চাই। 

[৫] তারা বলেন,নির্বাচনের মাঠে হামলার মুখেও চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে ফোনে পাননি । এছাড়া নির্বাচনে তাদের আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়নি। বক্তাদের অভিযোগ ছিল জিএম কাদের তার স্ত্রীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে কোরবানি দিয়েছেন। 

[৬] সম্প্রতি দুই দফায় কাজী ফিরোজ রশীদ, সুনীল শুভ রায়, শফিকুল ইসলাম সেন্ট ু ও ইয়াহ ইয়া চৌধুরীকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় জাপার পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ছে বলে মনে করেন জাপার তৃণমূলের নেতা- কর্মীরা। তাদের ধারণা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অব্যাহতির খড়গ যে কোন সময় আাসে পারে। সম্পাদনা : কামরুজ্জামান